মানবকল্যাণে রত্মপাথর

jemআল্লাহ মানব কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে রত্নপাথর, গ্যাস, পেট্রলিয়াম, ইত্যাদি রয়েছে। এই সকল কিছুই মানুষের উপকারে এসে থাকে।

আল্লাহ তার পছন্দের মানুষদেরই এলেম দান করেন। রত্ন পাথর আল্লাহরই নিয়ামত।  পবিত্র কোরআন শরিফের সূরা আর-রহমান এর ২২ নং আয়াতে উল্লখে করেছেন “উভয় দরিয়া হইতে উৎপন্ন হয় মুক্তা ও প্রবাল” এবং ২৩ নং আয়াতে মানুষ ও জীন জাতিকে জিজ্ঞেস করেছেন “সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?”

সূরা আল জাজিয়ার ১৩ নং আয়াতে বর্ণীত আছে, “আর তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন আকাশমণ্ডলী পৃথিবীর সমস্ত কিছু নিজ অনুগ্রহে, চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে তো রহিয়াছে নিদর্শন” এই আয়াত শিক্ষা দেয় যে সৃষ্টির সকল জিনিসই মানুষের ব্যবহারের জন্য। সকল কিছুই নির্ভর করে মানুষের প্রজ্ঞার উপর, যারা আল্লাহর আদেশ, নিষেধ এবং নিয়ম কানুন মেনে চলে তা এ উপকরণসমূহকে মানুষের কল্যানে ব্যবহার করতে পারেন।
ফাতেমি ইমাম ৯ম, আল শাক্স আল ফাজিল, সাহেব আল রাসাইল, ইমাম আহম্মদ আল মাসতুর “Risalah Takwin al M’adin” বইতে প্রায় ৯০০ প্রকারের খনিজের কথা আলোচনা করেছেন। তার মধ্যে কিছু কিছু রত্নপাথর পাওয়া যায় সমদ্রের নিচে, আবার কিছু পাওয়া যায় পাহাড়ে আর কিছু পাওয়া যায় মাটিতে।

jem 2

 রত্ন পাথর ধারণ পৃথিবীর একটি পুরানো ঐতিহ্য।  ক্লিনিকাল গবেষণায় দেখা গেছে সঠিক রত্নপাথর ব্যবহারে ব্যাথা কমে, এলার্জির নিরাময় হয়, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয় এবং পেশী শক্তি বৃদ্ধি পায়।
পৃথিবীতে নানা ধরণের ধাতু পাওয়া যায় যেমন স্বর্ণ, সাদা স্বর্ণ, প্লাটিনাম, স্টিল, তামা, রুপা ইত্যাদি। তবে হাদিসে পুরুষদের জন্য সোনা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমান বিজ্ঞান দ্বারাও প্রমাণিত হয়েছে যে স্বর্ণ স্ত্রীলোকের শরীর থেকে বিভিন্ন রোগ জীবাণু গ্রহন করে এবং ঋতু চক্রের সময় রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
 রত্ন পাথরের মধ্যে মানুষের শারীরিক এবং মানষিক রোগ নিরাময়ের উপাদান রয়েছে। রত্ম ধারণ করার আগে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিতে হয়।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান